ভোলাহাট প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাদের মনগড়া কারণ দেখিয়ে আউশ মৌসুমের শুরুতে ভোলাহাট উপজেলার ৮০টি গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বীজতলা শুকিয়ে আউশ উৎপাদন হুমকির মূখে পড়েছে। জানা গেছে, ভোলাহাট উপজেলায় বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপ¶ের মোট ২’শ ১৮টি বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপ রয়েছে। গভীর নলকূপগুলো প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে সেচ কাজ পরিচালনা করে আসায় কৃষকের বিদ্যুৎ বিল বয়েকা থাকে না। তারপরও বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার অজুহাত দেখিয়ে স¤প্রতি উপজেলার ৮০টি গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ। যার ফলে ১৬ হাজার বিঘা জমিতে ১ লাখ ৬০ হাজার মণ ধান উৎপাদন হুমকির মূখে পড়েছে। উৎপাদিত ধান থেকে প্রায় ১৬ কোটি টাকা মূল্যের ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হবে কৃষক বলে স্থাণীয় কৃষকেরা অভিযোগ করেন। এদিকে ৪টি গভীর নলকূপ থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের ট্যাংকি থাকায় রমজান মাসে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে ফেলায় চরম দূর্ভোগে পড়েন রজাদার মানুষ। পরে স্থাণীয় সংসদ সদস্যসহ উচ্চ পদস্থদের সমš^য়ে পূনরায় সংযোগ প্রদান করা হয়। স্থানীয় কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, দেশেনেত্রী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের কথা ভেবে নিজ বাড়ীতে বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে যখন কৃষি ফসল বাঁচানোর তাগিদ দেন ঠিক এমন মূর্হুতে প্রধান মন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে স্থানীয় পল¬ী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপ¶ বিনা কারণে কৃষকদের একহাত নেয়ার যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় বিএমডিএ কর্তৃপ¶ের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, পল¬ী বিদ্যুৎ সমিতি তাদের কাছে কোন বকেয়া বিল পাবে না। তাদের মনগড়া পাওয়ার ফ্যাক্টরের নামে অতিরিক্ত টাকা দাবী করে ৮০টি গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। এব্যাপারে তাদের উর্ধতন কর্তৃপ¶ের নিকট চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান। এব্যাপারে পল্ল¬ী বিদ্যুৎ সমিতির ভোলাহাট জোনের এজিএম সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বাংলাদেশ রেগুলেটারীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক পাওয়ার ফ্যাক্টরের অর্থ বকেয়া থাকার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা ¯^ীকার করেন এবং বলেন এব্যাপারে পল¬ী বিদ্যুৎ ও বিএমডিএর উর্ধতন কর্মকর্তা পর্যায়ে আলাপ চলছে সমস্যার সমাধান হলে সংযোগ স্থাপন করা হবে বলে জানান।