
গোবিন্দগঞ্জে বান্ধবীর বাড়িতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টসকর্মী ॥ গ্রেফতার ২
♦ গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সহকর্মী বান্ধবীর বাড়ীতে বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে গার্মেন্টসকর্মী। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় অভিযোগে মুল অভিযুক্ত সোহেল সহ নির্যাতিত কিশোরীর বান্ধবী আদুরী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোহেল (৪০) পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ভগবানপুর গ্রামের কমির মিয়ার ছেলে এবং আদুরী শাখাহার ইউনিয়নের চক মানিক পুর গ্রামের লুুৎফর রহমানের কন্যা এবং জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী ও কিশোরীর বরাত দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দিঘিরহাট চক মানিকপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে আদুরী বেগম তার স্বামীসহ ঢাকার নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন। একই বাসায় ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। একই বাসায় থাকার কারণে আদুরীর সাথে ওই কিশোরীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। গত ২৭ অক্টোবর আদুরী বেগম গাইবান্ধায় তার বাবার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসেন। সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করায় আদুরীর সম্পর্কের দুলাভাই সোহেলের সাথে ওই কিশোরীর কিছুটা সখ্যতা হয়। গত শুক্রবার সকালে সোহেল ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘুরতে নিয়ে যায়। দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সোহেলসহ ৪/৫ জন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। পরে ওই রাতে উপজেলার বালুয়াবাজার বাংলালিংক টাওয়ারের সামনে ওই কিশোরীকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। রাত ১টার দিকে স্থানীয়রা ওই কিশোরীর মুখে ঘটনা শুনে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে উদ্ধারের পর গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। রাতে কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে সোহেলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার করেছে। এঘটনায় ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।