চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিভিন্ন সড়কের দু’পাশের শতাধিক গাছ বয়সের কারণে রোগ আক্রান্ত হয়ে মরে যাচ্ছে। শুকনা ও মরা এসব গাছ এখন যানবাহন ও পথচারীদের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এই গাছগুলো সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতে মরা গাছের ডাল ভেঙে পড়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। এ অবস্থায় সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নব্বই দশকের গোড়ার দিকে বরেন্দ্র অঞ্চলের এই জেলায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও বরেন্দ্র প্রকল্প রেল ও সড়কের দুই পাশে কয়েক হাজার গাছ লাগায়। এর মধ্যে শত শত গাছ শুকিয়ে মরে গেছে।
কোনটিতে ঘুম ধরেছে আবার কোনটিতে কাঠ পোকা বাসা বেধেছে। বিভিন্ন স্থানে বিশাল আকারের গাছ হেলে পড়েছে সড়কের উপর আবার কোন সময় ঝড়-বৃষ্টিতে রাস্তার উপরে এসব ভেঙে পড়ে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘুরতে পারে এনিয়ে পথচারীরা শংকিত। রহনপুর-ভোলাহাট, রহনপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুর- নাচোল, রহনপুর-কানসাট, রহনপুর-পোরশা-সাপাহার সড়কে প্রতিদিন ছোট-বড় কয়েকশো যানবাহন ও হাজার হাজার পথচারী চলাচল করে। সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতে মরা গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে ঘটছে হতাহতের ঘটনা।
এই অবস্থায় পথচারী ও যানবাহনের চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সাম্প্রতিককালে রহনপুর-ভোলাহাট সড়কের হুজরাপুর মসজিদ সংলগ্ন স্থানে এক বিশাল আকৃতির মরা গাছ ভেঙে পড়ে। এতে অল্পের জন্য বেশ কয়েকজন পথচারী বেঁচে যান। মরা গাছগুলো অবিলম্বে কাটার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও গাড়িচালক। তারা বলেন, অত্র এলাকার সড়ক ও রেল লাইনের দু’পাশের গাছ মরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গাছগুলোর নিচ দিয়ে হাঁটার সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়, কখন যে ডাল ভেঙে মাথায় পড়ে, সে চিন্তায় বুক কাঁপে। অনেক সময় ডাল ভেঙ্গে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। রাস্তার উপর হেলেপড়া গাছগুলো অনেক সময় উপরে লেগে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। সরকারের রাজস্ব বাড়াতে সড়ক ও রেলপথের এ মরা গাছগুলো দ্রুত নিলামে বিক্রি করে তা কেটে সরানো প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষকগণ মনে করেন।