
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম ॥ বেকায়দায় পরিবার ॥ পাশে জেলা প্রশাসক
♦ স্টাফ রিপোর্টার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বিদিরপুর রেলবস্তির হোটেল শ্রমিক রুবেলের স্ত্রী আঙ্গুরী বেগম (৩০) গত রোববার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত ভোর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পেটে জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম দেন।
শিশু ২টির সকল অঙ্গ-প্রতঙ্গ আলাদা হলেও পেটে জোড়া লাগানো এবং কোন মলদ্বার নেই। এনিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন দরিদ্র শ্রমিক প্রতিবন্ধী রুবেল। এদিকে, প্রতিবন্ধী প্রসুতি মা আঙ্গুরী বেগম এখনও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি জেনে মঙ্গলবার সকালে দরিদ্র রুবেলের বিদিরপুর রেল বস্তির বাড়িতে ছুটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ। এসময় সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী সাথে ছিলেন। তিনি তাৎক্ষনিক জোড়া লাগা শিশুর চিকিৎসার জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৪টি কম্বল প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জুলফিকার এর সাথে কথা বলেন এবং এ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করে শিশু ২টিকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকের পরামর্শে যমজ শিশুর চিকিৎসার জন্য সেখানে প্রেরনের ব্যবস্থা করেছেন। উন্নত চিকিৎসা শেষে শিশুদ্বয় সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, চিকিৎসা শাস্ত্রে এটা একটা জটিল বিষয়।
এসব শিশু ভুমিষ্ট হবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মারা যায়। যেহেতু এ শিশুদ্বয়ের ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেছে, বিধায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা পেলে শিশুদ্বয় বেঁচে যেতে পারে। এঘটনায় মঙ্গলবার এলাকা ও আশেপাশের শত শত নারী-পুরুষ ভীড় জমায় রুবেলের বাড়িতে।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেত্রী সুলতানা পারভিন জানান, শিশুদ্বয়ের পিতা রুরেল ও মা আঙ্গুরী বেগম উভয়েই প্রতিবন্ধী। শিশুদ্বয়ের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তিনি শিশুদ্বয়ের চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বিদিরপুর রেলবস্তির হোটেল শ্রমিক রুবেলের স্ত্রী আঙ্গুরী বেগমের শাশুড়ী জানান, আঙ্গুরী বেগম এর আগে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছে। এই তিন সন্তানের মধ্যে ২ সন্তান জীবিত আছে।