চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি মাদ্রাসার ৮ থেকে ১০ বছর বয়সী তিন শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো: সুয়াইবুর রহমান (৫৪) কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও পাঁচ বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইবুনাল। বুধবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার (জেলা ও দায়রা জজ) একমাত্র আসামীর উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিত সুয়াইবুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট মিলিক(কলকলিয়া) এলাকার মৃত শমসের আলীর ছেলে। মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (বিশেষ পি.পি) এনামুল হক জানান, ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী রাতে শিবগঞ্জের কানসাট বাজার এলাকার একটি আবাসিক মাদ্রাসায় মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক শুয়াইবুর রহমান মারধরের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তারই মাদ্রাসার ৯ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে। পরের দিন ছাত্রদের নিকট ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী ওই শিশুর মামা বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় ওই শিক্ষককে একমাত্র আসামী করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে সূনির্দিষ্ট আরও ২ জন সহ আরও ৮/১০ শিশু শিক্ষার্থীকে ওই শিক্ষক একই কায়দায় ধর্ষণ করেছেন মর্মে অভিযোগ করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক(এসআই) আব্দুল বাসির একমাত্র আসামী সূইায়বুরকে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ১২ মার্চ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১১ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে ট্রাইবুনাল সুয়াইবুর রহমানকে দোষি সাব্যস্ত করে দন্ডাদেশ ঘোষণা করেন।