1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
বিচারপতি বজলুর রহমান ছানার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজশাহী প্রেসক্লাবে গুণীজনদের সভা - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কানসাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইন মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড জয়পুরহাটে সিন্ডিকেটের থাবা ॥ ৪৯ টাকার মুরগির বাচ্চা ৭৫ টাকায় বিক্রি চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীদের অর্থ সহায়তা চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোমা তৈরীর জন্য গানপাউডার মজুদ ॥ উদ্ধারসহ আটক এক জয়পুরহাটে জমে উঠেছে ৫’শ বছরের ঐহিত্যবাহী ঘোড়া মেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল-টাকা উদ্ধারসহ গ্রেফতার-২ গাজীপুরে গরুচোর সন্দেহে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা সারাদেশে ঝড়ো আবহাওয়ার পূর্বাভাস ॥ নদীবন্দরে এক নম্বর সংকেত পাবনায় জাতীয় শ্রমিকলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ইফতার

বিচারপতি বজলুর রহমান ছানার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজশাহী প্রেসক্লাবে গুণীজনদের সভা

প্রেসবিজ্ঞপ্তি
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১০০ বার পঠিত

বিচারপতি বজলুর রহমান ছানার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজশাহী প্রেসক্লাবে গুণীজনদের সভা

১ জানুয়ারি ২০২৩ সুপ্রিমকোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও রাজশাহী প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য বিচারপতি বজলুর রহমান ছানার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে বিচারপতি বজলুর রহমান ছানা স্মৃতি পরিষদ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনরা অংশ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। বিচারপতি বজলুর রহমান ছানা স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া (জিন্নাহ), নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার,বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বিচারপতি বজলুর রহমান ছানা স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান, সিটি প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ জুলফিকার, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. একেএম আখতারুল কবীর, বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি ভাষাসৈনিক হাবিবুর রহমান শেলীর ছোটভাই মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, স্মৃতি পরিষদ সদস্য জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা ইয়াসির আরাফাত সৈকত, স্মৃতি পরিষদ সদস্য ডা. আসাদুর রহমান বিপ্লব। বক্তারা বলেন, ৯৮’ সালের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে। জলাবদ্ধতার কারণে মানুষ লাশ দাফনের জায়গা পাচ্ছিলো না। সেসময় ডেপুটি এনর্টি জেনারেল পদে থাকা বজলার রহমান ছানা তৎকালীন পানিমন্ত্রী কাছ থেকে এক প্রকার জোরজবরদস্তি করে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে দেন। যার সুফল চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ পাচ্ছে। দায়িত্বের প্রশ্নে যেমন শতভাগ ছিলেন, নীতির প্রশ্নেও ছিলেন আপোষহীন। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জকে রক্ষার করার জন্য তাঁর ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করা হয়। বজলুর রহমান ছানা’১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের গোয়ালপাড়া মহল্লার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭০ সালে নবাবগঞ্জ হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং ১৯৭২ সালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। মেধাবী ছাত্র বজলুর রহমান ছানা ১৯৭৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ থেকে জুরিসপ্রুডেন্স বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭৭ সালে একই বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে সমাজ বিজ্ঞানে বিভাগ থেকেও তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তৎকালীন বৃহত্তর রাজশাহী তথা উত্তরবঙ্গের অন্যতম সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা ‘বজলুর রহমান ছানা’ ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তৎকালীন নবাবগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগ ও আশির দশকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাকসু নির্বাচনে ভি.পি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া রাজশাহী প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসনামলে ১৯৭৮ ও ১৯৭৯-৮০ সালে বিবর্তনমূলক আটকাদেশে কারাবরণ করেন। ১৯৮৩ সালের বিশেষ সামরিক শাসনামলে সামরিক আদালতে তিনি যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হন যদিও পরবর্তীতে মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়। তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে প্রায় ১৫ বছর ঢাকার ধানমন্ডি ল’কলেজে আইনের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে ঢাকার জজ কোর্ট এবং ১৯৮৭ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটে আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালে সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ১৯৯৯ সালে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে তিনি প্রচুর সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে তিনি মৃত্যু অবধি দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারী তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া চাওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!