দেশে এমন কিছু পুরাকীর্তি ও প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে যা এখন পর্যন্ত দৃষ্টির আড়ালেই রয়ে গেছে। সরকারী কিংবা বেসরকারী পর্যায়ে এ সবের তথ্য উদঘাটনের কোন পদক্ষেপই লক্ষ্য করা যায় না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র ভূমির ঐতিহাসিক রহনপুরে রয়েছে এ ধরনের একটি নিদর্শন। এটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট একটি ঘর। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেন, এটি মোগল আমলে নির্মিত এবং সম্ভবতঃ তাদেরই কোন বিজয় স্মৃতি। রহনপুরের উত্তর-পূর্ব এর অবস্থান। মেঝে থেকে গম্বুজের উচ্চতা ৩০ ফুট। দেয়াল ৫ফুট পুরো। উত্তর পাশে মেহরাব দৃশ্য কুঠুরী। এই গম্বুজটি বাইরের কার্নিশে লোহার বালা বা কড়া রয়েছে। গম্বুজের প্রায় চারদিকে ২/৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছোট বড় বেশ কিছু প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন চোখে পড়ে। কারুকার্য বিশিষ্ট কিনা তা ঐতিহাসিকগণ অনুসন্ধান চালালে জানা যেতে পারে। উল্লেখ্য, এ প্রাচীন নিদর্শন এক সময় প্রত্মতাত্ত্বিক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের তত্ত্বাধানে সংরক্ষিত হত। বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। কারণ কোন কর্মকর্তা কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে এখানে থাকে না বলে এলাকাবাসী জানান। তবে একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, এখানকার নিয়োগকৃত কর্মচারীকে ঐতিহাসিক ছোট সোনা মসজিদে ডেপুটেশনে রাখা হয়েছে। অতিসত্বর এখানে লোক নিয়োগ করে এ প্রাচীন নিদর্শন সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞমহল মতামত ব্যক্ত করেছেন।