করোনা সংক্রমন সতর্কতায় ২ বছর পর ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে ও আনন্দ ঘন এবং উৎসবমূখর পরিবেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদ-উল-ফিতর পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বৃষ্টির কারনে সকল এলাকার জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শহরের কোর্ট জামে মসজিদ, ফকিরপাড়া জামে মসজিদসহ শহরের বিভিন্ন জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলার সংসদ সদস্যগণ নিজ নিজ এলাকার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব বিপিএম-পিপিএম বারসহ সরকারী কর্মকর্তাগণ নিজ নিজ এলাকার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। বৈরী আবহাওয়ায় কারণেই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন পদস্থ সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তাসহ হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লী। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়। জেলার সাবেক সংসদ সদস্যগন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ এলাকায় ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করেন। বাড়ির পাশর্^বর্তী জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন এরফান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’ এর সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ এরফান আলী। এছাড়া দর্পণ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ ও আমার চ্যানেল আই দর্শক ফোরাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদস্যগণ এবং ‘দর্পণ’ পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। জেলা থেকে প্রকাশিত সকল পত্রিকার সম্পাদকগণও নিজ নিজ এলাকার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। শেষে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ এবং দেশের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। ঈদ উপলক্ষে জেলা সদর সহ শহরগুলি রঙ্গিন পতাকা, বেলুন, ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়। পথে পথে নির্মাণ করা হয় তোরণ। গুরুত্বপূর্ন সরকারী বেসরকারী ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জা করা হয়। ঈদের নামাজের পর মানুষ ছুটে যায় জেলার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলিতে। নতুন পোষাক পরা শিশুদের খুশী ছিল সবচায়তে বেশী। ঈদ উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকতে দেখা যায়। তবে নামাজ শেষে আবহাওয়া ভাল হয়ে যাওয়ায় জেলাব্যাপী ঈদ উদযাপিত হয় নির্বিঘ্নে ও উৎসবমূখর পরিবেশে। ঈদ আনন্দ উপভোগ করেন জেলাবাসী।