চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পাশে অফিসার্স ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে ও শান্তি মোড়ে ২ দফায় ককটেল বিস্ফোরণে শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার রাত পৌনে ৭টা ও সোয়া ৭টার দিকে ২ স্থানে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি শহরে বিজিবি পুলিশ ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পাশে অফিসার্স ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে পরপর দুই ককটেল বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। বিকট শব্দে আশপাশের লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েন। তবে, এঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এর পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন, পুলিশ সুপার মোঃ ছাইদুল হাসান পিপিএম সেবা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আশেপাশে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দ্রুত ককটেল নিক্ষেপ কারীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ঘটনাস্থলের পাশেই জেলা প্রশাসকের বাসভবন হওয়ায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপর পরই শহরের শান্তি মোড়ে বঙ্গবন্ধু ক্লাবের পাশে আবারো ২ টি ককটেল বিস্ফোরণ হলে শহর জুরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের বিভিন্ন সড়কগুলোতে বিজিবি র্যাব এবং পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে।
শান্তি মোড় এলাকার এক ক্ষুদ্র্র ব্যবসায়ী জানান, একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণের কারণে তারা অনেকটা আতঙ্কে রয়েছেন। একই এলাকার এক পথচারী জানান, শহরে প্রায় দিনই এ ধরনের ককটেল বিস্ফোরণ শহরবাসী আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করছে। এর ব্যবস্থা হওয়া জরুরী। এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিব খাঁন জানান, দুষ্কৃতকারীরা আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য তার বাড়ির পাশে টেনিস গ্রাউন্ডে দুইটি এবং শান্তি মোড়ে দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সনাক্তের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, শহরে মূলত আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং র্যাব পুলিশ বিজিবি ও আনসারের সমন্বয়ে একাধিক যৌথ টিম শহরে টহল অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে ২৬, ২৮ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যালয় সামনে, শান্তিমোড়, বিএনপি থেকে সদ্য পদত্যাগি ও বিএনএম মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র মাওলানা আব্দুল মতিন এর বাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। প্রায়শই ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনায় অনেকটায় উদ্বিগ্ন শহরের ব্যবসায়ীরা ও সাধারণ মানুষ।